• ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক


Dec 20, 2024
05:56:26

বছরের প্রথম দিনে বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার সরকারি প্রতিশ্রুতি এবার বাস্তবায়িত হতে পারছে না। বছরের শেষ হতে বাকি মাত্র ১১ দিন, কিন্তু এখনো প্রায় ২৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজই শুরু হয়নি। ফলে আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে মার্চ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি বই ছাপার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের জন্য রয়েছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই, আর বাকি প্রায় ৩০ কোটি বই মাধ্যমিক, মাদরাসা এবং কারিগরি স্কুলের। কেন এই দেরি? এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৫ কোটি বইয়ের ছাপার কাজ শেষ পর্যায়ে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ১২ কোটি বইয়ের ছাপার কাজ এই সপ্তাহে শুরু হয়েছে। তবে চতুর্থ, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বইয়ের কার্যাদেশ সম্পন্ন হলেও প্রয়োজনীয় চুক্তিপত্র এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নবম ও দশম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হলেও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না পাওয়ায় কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে এই শ্রেণিগুলোর বই ছাপার কাজ এখনো শুরুই হয়নি। শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব গত দুই বছর নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও পড়ালেখার চাপ ছিল তুলনামূলক কম। তবে এবার আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কারণে তারা বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীই বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারেনি। এখন বই পেতে তিন মাস দেরি হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে আরও বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। বছর সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাসে পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরু হয়। তবে এ বছর সরকারের পরিবর্তনের পর এনসিটিবিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। চেয়ারম্যানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পরিবর্তিত হয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রমে আনা হয়েছে বড় পরিবর্তন। কিন্তু নতুন কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও পরিকল্পনার অভাবে বই ছাপার কাজ যথাসময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, প্রয়োজনীয় কার্যক্রম দ্রুত সমাপ্ত করা হলে অন্তত ১৫ থেকে ৩০ দিন আগেই বেশির ভাগ বই ছাপার কাজ শুরু করা যেত। সমাধানের দাবি দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পৌঁছে দেওয়ার এ পরিস্থিতি নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।

নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার সরকারি প্রতিশ্রুতি এবার বাস্তবায়িত হতে পারছে না। বছরের শেষ হতে বাকি মাত্র ১১ দিন, কিন্তু এখনো প্রায় ২৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজই শুরু হয়নি। ফলে আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে মার্চ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি বই ছাপার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের জন্য রয়েছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই, আর বাকি প্রায় ৩০ কোটি বই মাধ্যমিক, মাদরাসা এবং কারিগরি স্কুলের।

কেন এই দেরি?

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৫ কোটি বইয়ের ছাপার কাজ শেষ পর্যায়ে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ১২ কোটি বইয়ের ছাপার কাজ এই সপ্তাহে শুরু হয়েছে। তবে চতুর্থ, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বইয়ের কার্যাদেশ সম্পন্ন হলেও প্রয়োজনীয় চুক্তিপত্র এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

নবম ও দশম শ্রেণির বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হলেও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না পাওয়ায় কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে এই শ্রেণিগুলোর বই ছাপার কাজ এখনো শুরুই হয়নি।

শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব

গত দুই বছর নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও পড়ালেখার চাপ ছিল তুলনামূলক কম। তবে এবার আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কারণে তারা বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীই বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারেনি। এখন বই পেতে তিন মাস দেরি হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে আরও বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।

 বছর সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাসে পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরু হয়। তবে এ বছর সরকারের পরিবর্তনের পর এনসিটিবিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। চেয়ারম্যানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পরিবর্তিত হয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রমে আনা হয়েছে বড় পরিবর্তন।

কিন্তু নতুন কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও পরিকল্পনার অভাবে বই ছাপার কাজ যথাসময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, প্রয়োজনীয় কার্যক্রম দ্রুত সমাপ্ত করা হলে অন্তত ১৫ থেকে ৩০ দিন আগেই বেশির ভাগ বই ছাপার কাজ শুরু করা যেত।

সমাধানের দাবি

দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পৌঁছে দেওয়ার এ পরিস্থিতি নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।