সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশেই গত জুলাই-আগস্টে দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম বলেন, “ইন্টারনেট বন্ধ কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার খবর ধামাচাপা দিতে শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।”
জিজ্ঞাসাবাদের সময় পলক স্বীকার করেন, ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পেছনে ‘ভবনে আগুন’ লাগার মতো কোনো কারণ ছিল না। শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার ঘটনা গোপন রাখা।
তিনি আরও বলেন, “ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনায় দেশ-বিদেশে যে নিন্দা ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা মূলত শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসনেরই প্রতিফলন।”
জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। সেই সময় গণহত্যার অভিযোগ উঠলেও তা নিয়ে তদন্ত হয়নি। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১২ ডিসেম্বর অনুমতি দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তাজুল ইসলাম আরও জানান, ইন্টারনেট বন্ধের এই ঘটনার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।