বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশন আজ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের বহুল প্রত্যাশিত প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে। তিন মাস ধরে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে প্রণীত এ প্রতিবেদনটি দেশের ক্ষমতা কাঠামো এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তনের সুপারিশ নিয়ে আসছে।
গত পাঁচই অগাস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংবিধান সংস্কারের দাবি জোরালো হতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অক্টোবর মাসে অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি কমিশন গঠন করা হয়। তিন মাসের শ্রম এবং প্রায় এক লাখ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে কমিশন পাঁচ খণ্ডের একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।
১. ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ রোধ
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।
সংসদ কাঠামোর সংস্কার
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সুপারিশ, যা অধিকতর প্রতিনিধিত্ব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
স্বাধীন বিচার বিভাগ
বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস স্থাপন।
সংবিধানের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা
সাধারণ নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় সংবিধানের মৌলিক ধারাগুলোর উন্নয়ন।
প্রশাসনিক জবাবদিহিতা
কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় এবং কার্যকর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “সংস্কারের প্রস্তাবনায় রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও কিছু মতভেদ রয়েছে, আমরা আশাবাদী যে পরিবর্তনের পথে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হবে।”
এ প্রতিবেদন নিয়ে আগামী মাসে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।