সিরিয়ার গোলান মালভূমি সংলগ্ন বাফার জোনে ইসরায়েলের ভূমি দখলের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরাক, কাতার ও সৌদি আরব। ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ১৯৭৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, "ইসরায়েলের এই অনুপ্রবেশ সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের ওপর সরাসরি হামলা এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।" একই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের দখলদার নীতি বন্ধের আহ্বান জানায়।
সৌদি আরবও ইসরায়েলের ভূমি দখলকে 'সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর আঘাত' বলে উল্লেখ করেছে। দেশটি ইসরায়েলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, "ইসরায়েলের দখলদারিত্ব কেবল এই অঞ্চলের সংকট বাড়াবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।"
ইসরায়েলের ভূমি দখল ও জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া
১৯৭৪ সালে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তির আওতায় বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, এই অঞ্চলে কোনো সামরিক উপস্থিতি থাকবে না। তবে রোববার সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পালিয়ে যাওয়ার পর ইসরায়েল বাফার জোনসহ আশপাশের অঞ্চল দখলে নেয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, "১৯৭৪ সালের চুক্তি আর কার্যকর নেই।" এরপর হারমন পর্বতের সিরিয়ার অংশ দখল করে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘের ডিসএনগেজমেন্ট অবজারভার ফোর্স (ইউএনডিওএফ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা বাফার জোনে প্রবেশ করেছে এবং অন্তত তিনটি স্থানে অবস্থান করছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক ইসরায়েলকে এই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।