• ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক


Jan 7, 2025
07:00:59

অসহনীয় শব্দদূষণে বিপর্যস্ত ঢাকা নগরবাসী

ঢাকা, ৭ জানুয়ারি:
ঢাকা মহানগরীতে শব্দদূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন নির্মাণ কাজ, যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন, এবং রাস্তার বিক্রেতাদের লাউডস্পিকার—সব মিলিয়ে শহরের পরিবেশ সহনশীলতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এতে শহরবাসী দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মালিবাগের বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, "লাউডস্পিকারের বিকট শব্দ এবং রাস্তার হর্নের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে উঠেছে।"

পরিবেশবিদদের মতে, শব্দদূষণ নগরবাসীর শ্রবণশক্তি হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং মানসিক চাপের কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, ৬৫ ডেসিবেলের উপরের শব্দ দূষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেল ছাড়িয়ে গেছে। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, নীরব এলাকায় শব্দের মাত্রা গড়ে ৭৯.৫ ডেসিবেল।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন এবং জনসচেতনতা অপরিহার্য।”

সরকারি উদ্যোগ ও করণীয়

হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৭ সালে হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ করা হলেও এর প্রয়োগ এখনও অপর্যাপ্ত। সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশে ৩ কিলোমিটার এলাকাকে "নীরব এলাকা" ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ১০টি সড়ক নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে। পরিবেশবিদরা মনে করেন, যদি কঠোরভাবে আইন বাস্তবায়ন করা হয়, তবে শব্দদূষণ ৬০% পর্যন্ত কমানো সম্ভব।

জনসচেতনতা জরুরি

পরিবেশবিদরা জোর দিয়ে বলেছেন, জরিমানা আরোপের পাশাপাশি জনগণের আচরণ পরিবর্তনে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রচারণার প্রয়োজন।

নগরবাসীর প্রত্যাশা, দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ঢাকা শহরের শব্দদূষণ কমানো হবে।