• ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক


Feb 4, 2025
03:43:37

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নয়, সংস্কার প্রয়োজন

বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতির ভূমিকা অপরিসীম। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন—প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সর্বশেষ আগস্ট আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল, যা দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরাচারী সরকারের পতনের অন্যতম কারণ।

তবে ছাত্ররাজনীতির গৌরবময় অতীতের পাশাপাশি এর অবক্ষয়ের চিত্রও স্পষ্ট। বিভিন্ন সময় দলীয় ছাত্রসংগঠনগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সিট দখল, নির্যাতনসহ নানা অপকর্মে যুক্ত হয়েছে। বিশেষ করে বিগত সরকারের সময়ে দলীয় ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাস্তানে পরিণত করা হয়েছিল, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অন্যদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অতিমাত্রায় দলীয়করণ এবং ঘুষ দিয়ে প্রশাসনিক নিয়োগের অভিযোগও উঠেছে। অনেক অযোগ্য ব্যক্তি কোটি কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ভাইস চ্যান্সেলর বা কলেজের প্রিন্সিপাল হয়েছেন, যার ফলে শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি উঠলেও এটি সমস্যার সমাধান নয়। বরং ছাত্ররাজনীতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হবে।

এজন্য নিয়মিত ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং ছাত্রসংগঠনগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই হতে পারে একমাত্র সমাধান। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না করে এর সংস্কার করাই এখন সময়ের দাবি।