জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য
অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৭ জন করোনাভাইরাস
আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৬৪ জনে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭১ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৫ হাজার ৯৭৪ জনে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৯৬ হাজার ৩১৮ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯১ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪
ঘণ্টায় দেশে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ২১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৪৮৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৬টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৬৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১২ হাজার ৮৬৯টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৫১টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের
হার ১১.৫৬ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.৭২ শতাংশ।
নতুন যে ২৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ
২১ এবং নারী পাঁচজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৩৯ জন বা ৭৭.৩৯
শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ১৮০ জন বা ২২.৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৪
শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার
৬২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৮ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৫.৬০ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের
পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ইউএনবি