সারা দেশে এখন করোনা ভাইরাস এর আক্রমণ থেকে বাঁচতে লক ডাউন। কিন্তু এ কেমন লক ডাউন!
৫ এপ্রিল থেকে খুলবে শিল্প কারখানা এই তথ্য পাওয়ার পর আর কোন সিদ্ধান্ত প্রকাশ না হওয়ায় রাজধানী মুখি শ্রমিকের ঢল। গণপরিবহন এবং কারখানা বন্ধ হাওয়ায় বেশিরভাগ ভাগ শ্রমিক গ্রামে ফিরে গেছেন।
যেখানে অনিশ্চিত হয়ে পরেছে মানুষের বেঁচে থাকা!
লক ডাউন খুলবে কবে? কবে দেশ থেকে বিদায় নেবে এই অজানা দুর্যোগ? সেখানে তাদের চাকরিটা নিশ্চিত তো!
এই অনিশ্চিয়তায় দেশের হাজার হাজার শ্রমিক গ্রামে ফিরে যায়। কিন্তু এর ভয়াবহ ইফেক্ট দেখা দিল যখন কাজে যোগ দিতে আবার তারা রাজধানীতে ফিরে আসতে থাকে। ঘোষনা তো দিয়েছেন গার্মেন্টস মালিকরা তাদের লাভ বা লোকশানের কথা ভেবে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা ভেবে, কিন্তু দেশের সব গনপরিবহণ ২৫ শে মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করেছেন সরকার। কিভাবে পৌছাবে শ্রমিকরা, এটা কার মাথাব্যথা!
কে নিবে এই সব শ্রমিকের দায়ভার!
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় হেটে আসছেন অনেকে আর ফেরিঘাট গুলোর যা অবস্থা! অজস্র মানুষের ভীড়ে ভালভাবে অক্সিজেন পাওয়ার অবস্থা নেই সামাজিক দুরত্ব তো দূরের কথা!
ভেবে দেখুন তো এদের মধ্যে এক জন যদি আক্রান্ত থাকে দেশের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাড়াবে!
ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেয়া হল লক ডাউন, প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হবে না তার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করছেন সেনা সদস্য এবং পুলিশ, হাসপাতাল গুলোতে ডাক্তাররা নিজের কথা না ভেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাতে কি দেশে সংক্রমণ কমছে? কারন আামরা এখনো স্বভাবগত ভাবে শুধু নিজের টাই ভাবছি!
এখন আশা করা যাক কি ভাবছেন দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান গুলি- যখন সারা দেশে শ্রমিকদের এমন দুর্ভোগ, তারা যে কোন উপায়ে ঢাকা পৌঁছে গিয়েছে। তখন টনক নড়ে গার্মেন্টস মালিকদের।
এত মানুষের স্বাস্থ্য ঝুকির দায় নিতে হবে বিজিএমই কেই বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আাসাদুজ্জামান খান কামাল। স্যোসাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে বিজিএমইএর সহসভাপতি রুবনা হক শনিবার রাতে ঘোষণা দেন ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সব কারখানা বন্ধ থাকবে। এ ঘোষণায় আারও বিপাকে শ্রমিকরা
তারা কি ফিরে যাবেন? আবার ফিরে যেতে দিলে তারা কি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখবেন?
ঢাকায় থাকলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে?