বাংলাদেশে অনলাইনে নতুন বা পুরাতন বই ক্রয় বিক্রয়ের ওয়েবসাইট বুকসফ্যাক্টরী চালু হয়েছে। যেকোন ধরনের নতুন বা পুরাতন এখন থেকে খুব সহজেই অনলাইনে বিক্রি বা ক্রয় করা যাবে।
ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটটি চালু করা হয়েছে। অনেকেই বই কিনছেন আবার অনেকেই বিক্রি ও করছেন। এর মধ্যে বই বিক্রি করেছেন একজন মুন্সিগঞ্জের নিটল। তার সাথে কথা হল আমাদের প্রতিনিধির। তিনি বলেন, একটি নতুন বই কিনতে নীলক্ষেত যেতে আমাদের সময় লাগে ২ ঘন্টা আবার আসতে ২ ঘণ্টা। অর্থাৎ আমাদের মূল্যবান ৪ ঘন্টা সময় হারিয়ে যায়। আবার যেই বইটা বিক্রি করব সেই বইটা বিক্রি করে নতুন বই কিনতে এক তৃতীয়াংশ টাকা বেশী লাগে। বুকসফ্যাক্টরী আমাদের সময় এবং টাকা দুটোয় সেইভ করছেন।
বুকসফ্যাক্টরী নিয়ে বিস্তারিত কথা হল বুকসফ্যাক্টরীর উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আব্দুল হামিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, বুকসফ্যাক্টরীর মাধ্যমে পাঠকদের একবড় সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে।
যেমন ধরুন, আপনি এখন জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ফোর্থ সেমিষ্টারে। সেমিষ্টার শেষে আপনার বই গুলো বিক্রি করবেন। বই গুলো বিক্রি করতে আসতে হবে নীলক্ষেতের লাইব্রেরীতে। চিন্তা করা যায় সাভার থেকে আমাদের আসতে কত সময় লাগতে পারে। তাও আবার বই গুলো বিক্রি করতে হয় অনেক সস্তায়।
এখন যে ফোর্থ সেমিষ্টারে উঠবে তার তো একই বই গুলো দরকার হতে পারে। তখন সে বইগুলো কেনার জন্য যেতে হবে নীলক্ষেতের লাইব্রেরীতে। তার ও একই সময় লাগবে।
এই দুজনের সময় এবং টাকা বাচানোর জন্য আমার এই প্রচেষ্টা। যিনি বই বিক্রি করবেন তিনি একটি বইয়ের বিজ্ঞাপন দিবেন এবং বলে দিবেন ওনি কোন যায়গায় বইটি ডেলিভার দিতে চান। ধরুন সে বলে দিল জাহাঙ্গীনগরে বইটি ডেলিভারী করতে চান। ব্যাস হয়ে গেল সেইম প্লেসে বই কেনা বেচা এবং সময় ও বেচে গেল।
বই পড়া অনেকের শখের আবার অনেকের আনন্দের। জ্ঞান পিপাসুরা কখনো বই না পড়ে থাকতে পারেন না। যারা এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত তাদের তো বই ছাড়া কোন কথাই নাই, তাদের অবশ্যই বইয়ের পাহাড় সবসময় টেবিলের উপরে থাকে।
তাছাড়া ও অনেকে দেশী এবং বিদেশী অনেক রাইটারের বই পড়েন। পড়াশেষে অনেকে বই গুলো খুব সহজেই বিক্রি করে দিতে পারেন। অনেকে ভাল বই খুঁজেন তাদের জন্য এটি হতে পারে বিশাল একটা সুযোগ। সবার মধ্যে একটু একটু করে বই পড়ার অভ্যাস তৈরী হবে।
ওয়েব সাইটের ঠিকানাঃ https://booksfactory.com.bd