করোনার
টিকা তৈরিতে ১৭৬টি উদ্যোগ চালু আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী । এর মধ্যে ৩৪টি মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। তৃতীয়
ধাপের পরীক্ষায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে ৮টি।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে এগুলো মানুষের হাতে পৌঁছাতে কমপক্ষে আরও কয়েক মাস
(আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) লাগবে।
বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানি করোনা টিকার মূল্য নির্ধারণ করেছে।
যেমন অক্সফোর্ড ও এস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনটির প্রতি ডোজের দাম ধরা
হয়েছে মাত্র ৪ ডলার।
রাশিয়ার ভ্যাকসিনের দাম দুই ডোজ ১০ ডলার, জনসন অ্যান্ড জনসন দুই ডোজ ১০
ডলার।
উহান ইনস্টিটিউট অব চায়না ১৪৫ ডলার দুই ডোজ, চীনের সিনোফার্ম দুই ডোজ ১৪৫
ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের মাডর্না দুই ডোজ ৫০ থেকে ৬০ ডলার, ফাইজার দুই ডোজ ৩৯ ডলার।
এদিকে করোনাভাইরাসের কোনো টিকা
পাওয়া গেলে বিশ্বব্যাপী দ্রুত এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে বিতরণের লক্ষ্যে ‘ঐতিহাসিক’ একটি
চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ১৫৬টি দেশ।
নতুন এ চুক্তি অনুযায়ী, টিকা পাওয়া প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৩
শতাংশের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা
সংগ্রহ-বিতরণে নেতৃত্ব দেবে ইউনিসেফ। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট
হ্যারিস বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আকারে টিকাদান আগামী বছর মাঝামাঝির আগে সম্ভব হবে
না।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেছেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির আগে পাওয়ার
সম্ভাবনা কম। চীনা ভ্যাকসিন হাতে পেতে আগামী মে-জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে মোট ১৪ কোটি ডোজ টিকা লাগবে। এজন্য কী পরিমাণ
অর্থব্যয় হবে, এর মধ্যে কতটা বিনামূল্যে পাওয়া যাবে, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি।